বাংলা লিপির সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সৃজনশীলতার চর্চা নিয়ে লিপিকলার প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ‘লিপিকলা টাইপটক : ডিসকাসিং বাংলা টাইপফেস’শিরোনামে এ বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাগত বক্তব্যে লিপিকলার ফাউন্ডার ও সিইও কাজী যুবাইর মাহমুদ জানান, ‘লিপিকলা টাইপ ফাউন্ড্রি’ পেরিয়েছে এক বছরের যাত্রা। এই এক বছরে আমরা ১২টি টাইপফেস নিয়ে ১২টি বাংলা ফন্ট নির্মাণ করেছি, যেগুলো বাংলা লেখার দৃশ্যমান রূপকে নতুন মাত্রা দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘বাংলা বারো মাসের নামে একসঙ্গে ১২টি ফন্ট প্রকাশ করেছি আমরা। যে ফন্টগুলি লিপিকলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.lipikola.com থেকে ডাউনলোড করা যাবে। এর আগে গত বছর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দিনগুলিতে লিপিকলার ‘দ্রোহ’ ফন্ট যেভাবে দেশব্যাপী আন্দোলন, দেয়াললিখন আর পোস্টারে পোস্টারে জায়গা করে নিয়েছিল, সেই ঘটনা থেকে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বাংলা টাইপফেসের ঐতিহাসিক বিকাশ, ডিজিটাল যুগে টাইপফেসের প্রয়োজনীয়তা এবং অক্ষরের গঠনশৈলী নিয়ে তাত্ত্বিক ও একাডেমিক আলোচনা উপস্থাপন করেন।
নিউএইজের ডেপুটি এডিটর আবু জার মো. আক্কাস বাংলা ফন্টের বিবর্তন, নকশা, টাইপোগ্রাফি ও ব্যবহার নিয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা করেন। তিনি টাইপফেস ও ফন্টের অভিজ্ঞতা ও গবেষণার নানা দিক তুলে ধরেন। পাশাপাশি নতুন বাংলা টাইপফেসের সম্ভাবনা এবং ডিজিটাল মাধ্যমে এর বিস্তারের বিষয়েও আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে লিপিকলার নতুন বারোটি ফন্ট ও বাংলা লিপিকলার কয়েকশো বছরের ইতিহাস, বিবর্তন ও নকশা নিয়ে বিশেষ ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অন্যান্য আলোচকের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী ও টাইপফেস ডিজাইনার আনিসুজ্জামান সোহেল, বেঙ্গলবুকস-কিন্ডারবুকস এর প্রকল্পপ্রধান, শিল্পী ও টাইপফেস ডিজাইনার আজহার ফরহাদ, ইবিএলআইসিটি প্রকল্পের পরামর্শক মামুন অর রশিদ এবং ২০২৫-এ অভ্র কিবোর্ডের জন্য একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলা সিয়াম রুপালী ও কালপুরুষ ফন্টের নির্মাতা তানবিন ইসলাম সিয়াম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিল্পী ও গবেষক সিলভিয়া নাজনীন।
Read from Daily Shomoyer Alo